ভালোবাসার চিঠি | প্রেমের চিঠি

ভালোবাসার চিঠি | প্রেমের চিঠি

ভালোবাসার চিঠি 

 তুমি ভালো
 আমার হৃদয় হৃৎপিণ্ডের চাইতেও অনেক গভীরে, রক্ত আর শিরা উপশিরারও অনেক গহীনে যে অস্পৃশ্য অবিনশ্বর রুহ আছে, সেই রুহবিন্দু থেকে তোমাকে ভালোবাসি। তোমার রুপ অবয়ব বা বয়স নয়, তোমার আত্মাটাকে ভালোবাসি। কারন ভালোবাসা নয় রূপ যৌবনের লোভ। ভালোবাসা মানে নিজের অপর সত্ত্বাকে তোমার মাঝে খুজে পাওয়া। যাকে ছাড়া আমি অপূর্ণ।

 আমার হৃৎপিণ্ডের একটু উপরে, অল্প ডানপাশে, আমি নতুন হৃত্স্পন্দন টের পাই। তোমার জন্য এই হৃত্স্পন্দনের জন্ম। তুমিই আমার সেই হৃদয়ের টুকরো, যা দিয়ে তোমাকে তৈরি করা হয়েছে, আর যাকে খুজে না পাওয়া পর্যন্ত আমি অপূর্ণ।

 তোমার কাছে কিছু চাওয়ার সাহস নেই আমার। আমি বরং তোমার কাছে নিজেকে দিয়ে দিলাম। আমার স্থাবর অস্থাবর সম্পদ সম্পত্তি দেহের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সবকিছুর উপর কর্তৃত্ব থাকলো শুধু তোমার। তুমি আমার প্রসারিত বাহুডোরে না আসো, যদি আমাতে তুমি নিজেকে দিতে না চাও, তবু আমার সব কিছু তোমার। আমার সবকিছু চলবে শুধু তোমার কথামতো।

 আমি জানিনা মানুষ কেন বলে প্রেমে অনেক কষ্ট। পাওয়া না পাওয়ার বেদনা। তারা হয়তো জানেনা ভালোবাসা কি। তাদের হয়তো সে ধৈর্য ছিলোনা সত্যিকারের ভালোবাসার মানুষটিকে খুঁজে পাবার।

 নিজের জোর করে তৈরি করা ভালোবাসায় আবদ্ধ তারা। তা না হলে তারা জানতো, সত্যিকারের ভালোবাসায় চাওয়ার কিছু থাকেনা। প্রশ্ন থাকেনা, হৃদস্পন্ধন থেমে যায়না, বুক মোচড় দেয় না। কষ্ট হয়না। তাড়নার জঞ্জাল ভ্রু কুচকে ঝামেলা থেকে মুক্তি চায়না। ভালোবাসা মানে নিজের কাছে হার মানা নয়। নয় স্রেফ পছন্দ হয়েছে একজনকে তাই তাকে বশে আনা।

 ভালোবাসা মানে একা থাকা। ভালোবাসা মানে অপেক্ষা করা। একদিন আয়নার মতো কাউকে খুঁজে পাওয়া। যাকে পেলে এমনিতেই মনের সব প্রশ্নের উত্তর মিলে যায়। প্রথম স্বপ্নের কথা মনে পড়ে। এক ঝলক স্বপ্ন। মনের মাঝে বয়ে চলা সব ভার এক পলকে আকাশে উড়ে যায়। নিজের মন সত্ত্বার প্রতিরূপ খুঁজে পেয়ে বিকশিত হয় হাসি। এই তো সে, যাকে পেতে নয়, নিজেকে দিয়ে দিতে এত বছর ধরে একা হাঁটছি।

 আমি অপেক্ষা করছি তোমার জন্য। যদি তুমি আমায় ভালোবাসো, আমিও তোমায় সারা আকাশ ভেঙ্গে ভালোবাসা দেবো । আমি তোমায় ভালোবাসবো চোখে চোখ রেখে। ভালোবাসবো তোমায় আঙুলের স্পর্শে। সব দুর্নিবার দূরত্বের কষ্ট আমি উড়িয়ে দিবো বুকে চেপে ধরে। তোমার অস্থিরতা আমি শান্ত করবো। তোমার সব অতৃপ্ততা আমি ভালোবাসার আগুনে পুড়িয়ে দিবো।

তোমার অভিমানে জল আমি ঠোঁটে ছুয়ে মুছে দিবো । তোমায় ভালোবাসবো আমি সঙ্গীতের মূর্ছনায়। আমি ভালোবাসবো তোমার সুগন্ধি। তোমার প্রতিটি মুহূর্ত কাটবে প্রথম মুহূর্তের পুনরাবির্ভাবের পুলকে। আমি বুঝে নিবো তোমার সব সুক্ষতা। আমি চিনে নিবো তোমার সব চাতুর্য। আমি বাস্তব করবো তোমার সব কল্পনা। মিটাবো তোমার সব উত্তেজনা।

 তোমার সব শীতলতা আমি উষ্ণ করে দিবো। তোমার আসক্তিতে আমি সবসময় স্পর্শ দিবো।তুমি খুশীতে হাসবে আমার কৌশলে।তোমায় কষ্ট কখনো খুজে পাবেনা। তুমি যদি অত্যাচারের তীব্রতা আর ঘৃনায় সুখ খুঁজতে চাও, তবে বৃস্টির জল দেখতে দেখতে তোমার নিয়ে আমি খেলবো। খেলতে খেলতে তোমায় অসহায় করবে না পাওয়ার যন্ত্রণা। তোমায় একা বইতে দিবো বিরহ। দ্রোহের যন্ত্রণায় কেমন লাল হয়ে যাও তুমি, আমি চেয়ে চেয়ে দেখবো।

 ক্রোধে বের হয়ে আসা তোমার কান্না আমি হাসিমুখে উপভোগ করবো। যদি হেরে যাও নিজের কাছে, আত্মসমর্পণ করে ফেলো, তবে ভালোবাসা জড়িয়ে দেবো তোমার পরতে পরতে।

 তোমার সব চিন্তা-ভাবনা- ইচ্ছা-কাজের আমি স্বীকৃতি দিবো। তোমার গোপন প্রকাশ্য সব রুচিতে আমি পাশে থাকবো। তোমায় ঘেরা প্রকৃতির সব অসমতায়, দুঃসংবাদে, সুসংবাদে ,শোকে, মৃত্যুতে,রোগে ব্যর্থতায়, বিচ্ছিন্নতায় আমি ছায়ার মতো থাকবো, তোমায় সঙ্গ দিবো সর্বদা।

 তুমি আমার। কারন তুমি যদি আমার সে না হও, তবে কেন তোমাকে পেয়ে এতো ভালো লাগে। তবে কেন আমাদের হৃত্স্পন্দন একসাথে স্পন্দিত হয়। তুমি যদি আমার সে না হও, তবে কেন তোমার জন্য পুরো পৃথিবীর বিরুদ্ধে একা দাঁড়াতে দ্বিধা নেই আমার। আমি যদি তোমার জন্য না হই, তবে হৃদয় কেন বলে হ্যাঁ, আমি তোমার জন্য। আমার মস্তিস্কে কেন শুধু তুমি। কেন আমার স্বপ্নে শুধু তুমি। অদেখা ভবিষ্যৎ শুধু তুমি। আমার হৃদয় কেন অবিচল, সবসময়, তোমার পক্ষে।

 আমি কখনো তোমার হাত ছুয়ে দেখিনি। কখনো একসাথে হাসিনি। কখনো একসাথে কাঁদিনি। একসাথে কখনো বৃষ্টিতে ভিজিনি।কখনো চুমু খাইনি তোমার ঠোঁটে। তবু তোমায় ভালোবাসি। কোনকিছু ছাড়াই ভালোবাসবো।মৃত্যু পর্যন্ত... মৃত্যুর পরেও...।

 আমি তোমাকে ভালোবাসি। তুমি ভালো থেকো..........
ভালোবাসার চিঠি | প্রেমের চিঠি

ভালোবাসার চিঠি ২


 প্রিয়,

 আমার শুভ কামনা তোমার বর্ণাঢ্য জীবনের কোন এক অচেনা অন্ধগলিতে মশালের অগি্ন শিখার কম্পমান আলোর মতো আলোকিত করুক। কামনার শুভ আশীষ শুধু চিঠির প্রারম্ভিক নিয়মতান্ত্রিকতা বজায় রাখার তথাকথিত প্রচেষ্টা নয় বরং আমার হৃদয়ের একান্ত চাওয়া। চোখেতে ভালো লেগেছিলে, স্মৃতিতে ছবি গড়েছিলে, নয়নের পথ ধরে মনের আঙ্গিনায় নীরবে কখন এলে ও প্রেয়সী ও প্রিয়তমা।

 জানো জীবনে কতো মুখেইনা দেখেছে এ পোড়া দু-চোখ অথচ তোমাকে দেখলাম সবার চেয়ে আলাদা করে। হয়তো এখন দুজন পরস্পরের অজানা। তবুও আমি আশা রাখি একদিন হয়তোবা প্রেমের ডোরে বাধঁবা আমারা একটি অভিন্ন স্বপ্নকে।

 সে বাঁধনে ভালোবাসা থাকবে সদ্যজাত মুখায়বের মতো পবিত্র আর নির্মোহ। প্রশ্ন করেছি নিজেকে কেন ভালবাসি তোমায়, দুর্বোধ্য হৃদয়ের যে স্থান জন্মাব্দি বিচ্ছিন্ন আরামহীন জনপদ ছিল েেসখানটায় কী অনায়েসেই ঢুকে পড়লে তুমি বিন্দু মাত্র টের পাইনি। বিশ্বাস কর অবাক বিস্ময়ে দেখেছি অনেক ভালোত্বকে লালন করেছ তুমি।

 প্রথমে তোমার ভালোত্বকে ভালোবাসা পরে তোমাকে । তোমার কথাবলা, একাগ্রচিত্তে পথচলা, তোমার বুদ্ধিদীপ্ত চোখের দুষ্টোমির ঝিলিক আমার খুব ভালো লাগে। তোমার ঝরণার ছন্দ তুলে হেঁটে চলা কিংবা চুল দুওলিয়ে হাটা আমার কাছে স্বতন্ত্র মনে হয়। জানো কঠিন বাস্তবতার নগ্ন শাস্ন এক এক করে মানুষের সব কাছের মানুষ গুলোকে দূরে সরিয়ে দেয়। প্রিয় মুখগুলো তখন স্বার্থপরের মোত হারিয়ে যায়, ফাঁকি দেয়। বিশ্বাস করো তুমি আমি সত্যি হারাবো না।তোমার কাছ ঘেসষ থাকবো। হয়তো অনুভবে কিংবা স্বপ্নলোকে আততায়ী হয়ে।

 তোমার একাকিত্বের নিষ্ঠুর সময় আর কষ্টের দিন গুলোতে আমি বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখাবো তোমায়, বুঝাবো জীবন এতো তাড়াতাড়ী শেষ হয়ে যায় না। এ আমার বাস্তব প্রতিজ্ঞা আবেগের মিথ্যা আশ্বাস নয়।

 আমি জানি ক্রম থেকে ক্রমন্বয়ে আমায় দূরে ঠেলে দিবে তুমি কিংবা আমি নিজেই হারিয়ে যাবো তোমায় থেকে। নিষ্ঠুর সময় হয়তো আরো ব্যবধান তৈরি করবে তোমাতে আমাতে। সেটাকে ভাগ্যের অমোঘ সত্য বলে ধরে নেওয়া ছাড়া আমার কি-ইবা করার আছে বলো? পাবার আশায়তো ভালোবাসিনি তোমায় বরং তোমাকে আমৃত্যু দিয়ে যাবো। কিছু দিতে পারার সুখ নিয়ে অনন্তকাল ধরে বেঁচে থাকবো তোমার স্মৃতিতে, তোমারই খুব কাছে। এমন ভালোবাসা পেলে পৃথিবীর কার না বুক কানায় কানায় ভরে যায়।

আমি জানি তোমার বুকও ভরে উঠবে আর আমার বুকের খবর নাইবা শুনলে, আমার কোনো কষ্ট নেই তাতে। আমি বরং সুখী তোমায় বুঝতে শিখেছি তাতে তোমাকে না জানিয়ে তোমার উদ্দেশ্যে এই চিঠি লিখলাম। তুমি হয়তোবা বলবে যে, তোমার ছোট্ট সুন্দর তুলতুলে সবুজ ঘাসের ন্যায় কোমল বুকে ভালোবাসা নামের যে ভারী জিনিষ চাপিয়ে দিচ্ছি আর এই ভালোবাসার তীব্রতা তুমি সহ্য করতে পারবে কি পারবে না তা আমি জানিনা তবে আমি সইতে পারবোনা। আমায় ক্ষমা করে দিও।

 বিশ্বাস করো, নিজেও জানতাম না ভালোবাসার ক্ষমতা আর আগ্রাসন এতো বেশি। বিশ্বাস করো, জীবনের নিজস্ব নিয়মের বিরুদ্ধে বিদ্রেুাহ করার শক্তি কিংবা সাহস কিছুই নেই আমার। তাই কঠিনকে ভালোবাসা কিংবা ভালোবাসতে পারাতো কঠিনের চেয়েও কঠিন। আনাড়ীপনার জন্য যদি মাঝ পথে বিরক্ত আসে, যদি বিষাদে ভরে যায় বুক, ক্লান্তিতে নুয়ে যায় চোখের পল্লব তবে তো কঠিন তার কাঠিন্য হারাবে। হবে বিদীর্ণ।

 ফলশ্রুতিতে সে ধবংশ স্তুপ থেকে ভালোত্বটুকু কর্পুরের মতো উওড়ে যাবে। ছাই ভস্ম কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না । তাইতো তোমার ভূমিকা সম্পূর্ণ পালটে দিতে পারে কাঙ্খিত দৃশ্যপট। কলকাঠিতো তোমারই হাতে।

 আমার মুখয়বে কঠিন ভালোত্বটুকুর বহিঃ প্রকাশ কী অর্থ বহর করে এ প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত জানিও বিস্তারিত। প্রিয় শূন্যতা আর শূন্যস্থান আমায় যুক্তিতেই দুটোই এক দৃষ্টি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।

 বিশ্বাস করো শূন্যতাকে পূরণ করতে আমায় হৃদয়ে তোমাকে আমন্ত্রণ করিনি। এতে দৃষ্ঠতা আমার নেই। তোমার আগমন আমার হৃদয়ে চৈত্রের তাপদাহে আদ্রতা হারানো মরুভূমিতে নয় বরং যেথায় এখানে বসন্ত, কণ্ঠ থামিয়ে দেয়নি কোকিল, দক্ষিণের বাতাস আজো খেলা করে আঙ্গিনায় তোমায় আমন্ত্রণ সেথায়।

আমাকে ভুল বুঝাবো কারণ সবারটা জানিনা আমার হৃদয়ের পাশাপাশি তবে প্রমাণ পাবে কোন একদিন। বিশ্বাস করো কিনা জানি না, স্বপ্ন লালন করে বেঁচে থাকার মজাটাই আলাদা। আমার স্বপ্নরা ফিনিক্স পাখি হয়ে উড়ে চলে গেছে আমার আকাশসীমা থেকে অনেক দূরে। কিন্তু আমার কোন দুঃখ নেই তাতে।

 চলে গিয়ে যা কিছু রেখে গেছে তা দিয়ে অনায়েসেই কেটে যাবে অনন্ত সময়। শরৎবাবু তার কোনো এক উপন্যাসে আমার জন্য একটা বিশেষ উপদেশ রেখে গেছেন। উক্তিটি আমার খুব বেশি প্রিয় হয়ে উঠেছে ইদানিং। তা হলো স্বেচ্ছায় নেয়া দঃখকে ঐশ্বর্যের মতো ভোগ করা যায়। এখন আমি তাই করি।

প্রিয়, যে ভাবে লিখলে তোমায় সহজ সরল চটপটে মন আমার একান্ত নিশ্চুপ ভাষাগুলো বুঝে ফেলবে অতি সহজেই সেই ভাবে লিখেছি। তুমি যখন আমাকে সত্যিকারের বুঝতে পারবে,সুখ কিংবা দুঃখকে আরো একান্তে অনুভব করবে, প্রিয়জনের দেয়া কষ্ট তোমাকে কাঁদাবে তখন তোমার সব কষ্টকে মুছে দিতে খুব সুন্দর চিঠি লিখবো।

 সাদা কাগজে গুছানো অক্ষরগুলো দিয়ে লেখা সে চিঠি তোমাকে কষ্ট পেতে দিবে না। জড়িয়ে রাখবে আমার ভালোবাসার মতো করে। পরিশেষে জীবনের স্বাভাবিক গতিময়তায় একদিন নতুন বন্ধু আসবে তোমার হয়তো জীবন সাথী। সেদিন আমার সেরা প্রার্থনা থাকবে তোমাদের দু জনকে ঘিরে। এভাবে পুরোনো কেউ পড়ে যাবে শব প্রেম জালে। এটাই জীবন, এটাই প্রেম। ভালো থেকো। শুভকামোনায় তোমারই একান্ত প্রিয়জন।




প্রেমের চিঠি,ভালোবাসার চিঠি,ভালোবাসার রোমান্টিক চিঠি,ব্যর্থ প্রেমের চিঠি,শ্রেষ্ঠ প্রেমের চিঠি,রোমান্টিক প্রেমের চিঠি,শেষ চিঠি,কষ্টের চিঠি

1 comment

  1. কেউ যদি অভিমানে তোমার সাথে কথা না বলে, বুঝে নিবে সে তোমায় আড়ালে মিস করে.. আর কেউ যদি না দেখে কাঁদে, বুঝে নিবে সে তোমায় ভীষণ ভালবাসে..!
    ভালবাসা দিবসের শুভেচ্ছা ২০২০
Thanks
© Priyo blog. All rights reserved. Premium By FC Themes