টাক থেকে দূরে থাকুন প্রাকৃতিকভাবে! সাইনাসের সমস্যায় ভুগছেন
টাক থেকে দূরে থাকুন প্রাকৃতিকভাবে!
মাথার চুল কমে আসছে একটু একটু করে? আপনি যদি নিজের মাথার তালুতে চকচকে টাক পেতে না চান, তাহলে প্রাকৃতিক কিছু উপায় এখনই অবলম্বন করুন। কী সেগুলো? চলুন, জেনে নেওয়া যাক!
মাছ, বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ চুল ঝরা রোধের সব চাইতে কার্যকর খাদ্য। যেসব মাছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, সেসব মাছ রাখুন নিজের খাদ্য তালিকায়। সপ্তাহে মাত্র ৩-৪ দিন ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছ খেয়ে দেখুন। চুল পড়া নিজে থেকেই অনেক কমে যাবে।
সবুজ শাক-সবজি, বিশেষ করে পাতা জাতীয় শাক সবজি যেমন, পালং শাক, বাঁধাকপি, ব্রকলি ইত্যাদি যা ভিটামিন, মিনারেলস (খনিজ) এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সব চাইতে ভালো উৎস, সেগুলো প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন। এসব সবুজ শাক-সবজি চুলের গোঁড়া মজবুত করতে সহায়তা করে। প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে সবুজ শাক-সবজি রাখুন খাদ্য তালিকায়। এতে করে চুলের গোড়া মজবুত হবে, চুল হবে ঝলমলে। চুল পড়ার মাত্রা নিজে থেকেই অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করা থেকে শুরু করে আমাদের চুল ও ত্বকের যত্নে গাজরের তুলনা নেই। গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বেটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন এ। ভিটামিন এ চুলের গোঁড়ায় এক ধরণের প্রাকৃতিক তেল উৎপন্ন করে যা চুলকে উজ্জ্বল, চকচকে করে। বেটা ক্যারোটিন চুলের গোড়া মজবুত করে। সুতরাং, প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় গাজর রাখলে চুল পড়া অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
ওষুধ ছারাই এড়িয়ে যান সাইনাস!
সাইনাসের সমস্যায় ভুগছেন? দেখে নিন ওষুধ ছাড়াই সাইনাসের ব্যথা দূর করার এই উপায়গুলো-
প্রতিদিন ডায়েটে রাখুন এক কোয়া রসুন ও মধু। এই দুই উপাদানেই একাধিক রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা রয়েছে। বিশেষ করে শ্লেষ্মাজনিত অসুখ ঠেকাতে এদের জুড়ি নেই। এক কোয়া রসুনের সঙ্গে দু’চামচ মধু মিশিয়ে খেলে সাইনোসাইটিস দূরে থাকবে।
কম জলীয়বাষ্পযুক্ত স্থান এড়িয়ে চলুন। সাইনোসাইটিসের ক্ষেত্রে স্যাঁতসেঁতে বা অতিরিক্ত শুষ্ক আবহাওয়াও ক্ষতিকারক। পর্যাপ্ত আলো-বাতাস আছে, এমন জায়গায় থাকুন।
শ্লেষ্মাজনিত সমস্যাকে দূরে রাখলেই সাইনাসের সমস্যা অনেকটা দূরে থাকে। তাই গরম পানির ভাপ নিন। এতে নাসিকাপথ ভিজে থাকে ও শ্লেষ্মা পাতলা হয়ে বেরিয়ে আসে।
আদা, মধুর মিশ্রণ শ্লেষ্মার জন্য অত্যন্ত উপকারী। মধুর অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি ক্ষমতা শরীর গরম রাখে। আদা প্রাকৃতির ভাবেই অ্যান্টিব্যাক্টিরিয়াল। এই দুই উপাদানের মিশ্রণ প্রতি দিন খেতে পারলে সাইনাসের সমস্যা থেকে অনেকটাই দূরে থাকা যায়।
গরম পানীয় খান। চা-কফি খেলে তাতে চিনি বাদ দিন। স্যুপ খেলেও তা যেন খুব মশলাদার না হয়।
গরম পানিতে একটি তোয়ালে ভিজিয়ে ভালো করে নিংড়ে নিন। এবার এই তোয়ালে মুখের উপর দিয়ে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকুন। এতে অনেকটা আরাম পাওয়া যায়।
সিগারেটের ধোঁয়া, বডি স্প্রে, ধুলোবালি ইত্যাদিথেকে দূরে থাকুন। এসব নাসিকাপথে প্রবেশ করে সাইনোসাইটিসের সমস্যা বাড়ায়।
Comments
Post a Comment
Thanks