নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিজয় ছিলো প্রত্যাশিত: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গত ৩০ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে এদেশের আপামর জনসাধারণ বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছে। এ বিজয় ছিল খুবই প্রত্যাশিত। নির্বাচনের প্রাক্কালে দেশি-বিদেশী বিভিন্ন জরিপের ফলাফলে এরকম পূর্বাভাসই দেয়া হয়েছিল। লন্ডন-ভিত্তিক ইকোনমিক ইনটেলিজেন্স ইউনিট এবং রিসার্স এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের জরিপের ফল সবাই লক্ষ্য করেছেন। আর আমাদের ল্যান্ড-স্লাইড বিজয়ের বহুবিধ কারণ রয়েছে। বুধবার স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত ত্রিশ মিনিটের প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, একটি সমাজের প্রায় সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ যখন কোন দলের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন, তখন তাঁর পক্ষে গণজোয়ারের সৃষ্টি হয়। আমাদের বেলায় তাই হয়েছে। এদেশের মানুষ আমাদের ইশতেহারের পক্ষে নিরঙ্কুশ রায় প্রদান করেছেন। তিনি বলেন, যে কোন গণতান্ত্রিক নির্বাচন হলো পক্ষ এবং প্রতিপক্ষের মধ্যে ভোটারদের সমর্থন আদায়ের প্রতিযোগিতা। প্রতিপক্ষ শক্তিশালী হলে প্রতিযোগিতা জোরালো হয়। কিন্তু এবারের নির্বাচনে আমাদের যারা প্রধান প্রতিপক্ষ ছিল তাদের কোন নির্বাচনী প্রস্তুতি বা কৌশল ছিল বলে আমার মনে হয়নি। বিএনপি-জামায়াত জোটের ভরাডুবির কারণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে তারা এক আসনে ৩-৪ বা তারও বেশি প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ ছিল। তারা দূর্বল প্রার্থী দিয়েছিল। নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন- সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। নিজেরা জনগণের জন্য কী করবে, সে কথা তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। এছাড়া ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের দেশব্যাপী অগ্নিসন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড সাধারণ মানুষের মন থেকে মুছে যায়নি। তিনি আরও উল্লেখ করেন, নির্বাচনের প্রাক্কালে বিএনপি-জামায়াত এবং তাদের নির্বাচনী প্লাটফরম ঐক্যফ্রন্ট থেকে বিভিন্ন আজগুবি প্রতিশ্রুতি ( যেমন- যে কোন বয়সে সরকারি চাকুরিতে প্রবেশের সুযোগ) দেয়, যা জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির ধানের শীষ মার্কায় যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতাদের মনোনয়ন তরুণ ভোটাররা মেনে নিতে পারেনি। তরুণেরা আর যাই হোক স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির পক্ষ নিতে পারে না। এসব কারণে ভোটারগণ বিএনপির দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন এবং নৌকার অনুকূলে এবার গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছিল। আর সেই কারণেই আমাদের এই বিশাল বিজয় অর্জন। তাই এ বিজয়কে আমি দেশের মানুষের বিজয় বলে মনে করি। তিনি আরও বলেন, জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে। জিয়া এসে তাদের বিচার বন্ধ করে দেয়, তাদের ভোটের অধিকার দেয়, রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়। যেটা আমাদের সংবিধানে ছিলো না। সংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে তাদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়।সূত্র:ইনসাফ২৪.কম (অনলাইন নিউজ ওয়েব পোর্টাল) ।

Comments

Popular posts from this blog

HSC all text book Download | এইচএসসি সব পাঠ্য বই ডাউনলোড

একাদশ দ্বাদশ শ্রেণীর বই সমূহ ডাউনলোড – HSC Books Download pdf

আপনি 2022 সালে এই বক্স অফিস হিটগুলির কয়টি দেখেছেন?