এইচএসসি বাংলা লালসালু থেকে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা Hsc bangla important topics
বাংলা ১ম পত্র: লালসালু
১ম পর্ব- লেখক পরিচিতি।
আজ এই পর্বে আমরা সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ ও বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান সম্পর্কে আলোচনা করব।
লালসালু উপন্যাস hsc
আমরা প্রথমে তাঁর জন্ম মৃত্যুর কথায় আসি।
তিনি জন্মগ্রহন করেন ১৯২২ সাল, ১৫ই আগস্ট।
মৃত্যুবরন করেন ১৯৭১ সাল, ১০ই অক্টোবর।
এখন কথা হচ্ছে পড়ি তো সবসময়ই, মনে তো থাকে না -_- ...
চলো একটা সর্টকাট টেকনিক দেখে নেই 👀....
আমরা একটা কোড ইউজ করতে পারি, যেমন, ১৯২২ থেকে ২২ এবং ১৯৭১ থেকে ৭১ নিব, তাহলে হলো '২২৭১', প্রত্যেক কবি ও লেখকের ক্ষেত্রে এইরকম একটি কোড বানিয়ে জন্ম মৃত্যু সাল মনে রাখব। ( কারো কাছে ভিন্ন পদ্ধতি থাকলে, write it down 😊)
*সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর,
জন্ম- চট্টগ্রাম
পড়াশুনা করেন- ময়মনসিংহে
মৃত্যু- প্যারিস
আমরা এখন তাঁর সাহিত্যকর্ম নিয়ে কথা বলি,
*তিনি যে সাহিত্য গুলো রচনা করেছেন তার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত ছিল তাঁর উপন্যাসগুলো।
তাঁর উপন্যাস সংখ্যা ছিল ৩টি, করো কারো মতে ৪টি(একটি অপ্রকাশিত)।
তিনি মূলত উপন্যাসগুলোর কারনেই বেশি খ্যাতি লাভ করেন।
তার উপন্যাস গুলোর সর্টকাট আগে আমরা বলে নেই।
আমরা মনে রাখব " কালা চাঁদ" :P
কা- কাঁদো নদী কাঁদো ( নদীকে কাঁদতে বলছেন :P )
লা- লালসালু ( তাঁর রচিত সবচেয়ে বিখ্যাত উপন্যাস <3 )
চাঁদ- চাঁদের আমাবস্যা
তার শেষের দুইটি উপন্যাস লালসালু ও চাঁদের আমাবস্যা হলো- অস্তিত্ববাদী উপন্যাস।
**আমরা যখন সমাজে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে অনেক সংগ্রাম করি, সেই জাতীয় উপন্যাসই হলো অস্তিত্ববাদী উপন্যাস। যেখানে মানুষ সমাজে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সবকিছু করতে পারে। হোক সেটা ভালো বা খারাপ।
লালসালু উপন্যাসের- মজিদ, এবং
চাঁদের আমাবস্যা উপন্যাসের- আরিফ আলী।
এই দুটি চরিত্র হলো অস্তিত্ববাদী চরিত্র। যেখানে তারা সমাজে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সবচেয়ে নিকৃষ্ট কাজ ধর্মকে ব্যবহার করেছে। তার সাথে আরো অনেক খারাপ কাজও তারা করেছে।
এবং বাংলা সাহিত্যে একমাত্র অস্তিত্ববাদী উপন্যাস সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহরই রচিত 😊।
তাঁর কিছু উল্লেখযোগ্য নাটকও আছে ,,,,😃
১/ বহিপীর ( একজন পীর, যিনি কথা বলতে বইয়ের ভাষা ব্যবহার করেন। আমরা সবাই তার কথা কম বেশি জানি। 😁 )
২/ তরঙ্গভঙ্গ ( তরঙ্গ- ঢেউ, ভঙ্গ- ভেঙ্গে যাওয়া, অর্থাৎ, ঢেউ যেখানে ভেঙ্গ যায় বা ভাজ খায়)
৩/ সুরঙ্গ,,,
এখন কথা হলো নাম তো মনে থাকেনা, কি করব 🐸
চলো আরেকটা সর্টকাট টেকনিক খুঁজি 🙊
মনে করি কোথাও তরঙ্গভঙ্গ হচ্ছে, তার পাসে আছে একটা সুরঙ্গ, সেখানে বসে বহিপীর নাটক দেখছেন 😜
অর্থাৎ, বহিপীর তরঙ্গভঙ্গের সুরঙ্গে নাটক দেখে ( ফাইজলামির একটা লাইন আরকি 👅)
** এই ৩ টাই তাঁর বিখ্যাত নাটক। এছাড়াও আরেকটি উল্লেখযোগ্য নাটক রয়েছে, নাম 'উজানের মৃত্যু'।
তার কিছু বিখ্যাত গল্পও রয়েছে।
নয়নতারা এবং দুই তীর ও অন্যান্য।
বাট, টেকনিক ইজ এভরিওয়্যার 🐸
এক্ষেত্রে মনে রাখব, নয়নতারা 👀🌟 নামে একটা লোক 👨 আছে সে দুই তীর ও অন্যান্য নামক গল্প পড়ছে।
ইট্জ মিন, নয়নতারা, দুই তীর অন্যান্য গল্প পড়ছে। 🙈 ( এগুলো গল্পের নাম বা বিভিন্ন বিষয় মনে রাখার ইন্টারেস্টিং কিছু পদ্ধতি। তোমরাও চাইলে এইরকম অনেক টেকনিক বের করতে পারো নিজের পড়কে সহজ করতে😊। And don't forget to share with us your ideas 😁)
জীবনের শেষ সময় তিনি প্যারিসে কাটান। তিনি কেবল বাংলা সাহিত্যেই নন বরং ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সময়ও সুদুর প্যারিসে বসে বাংলার দুর্যোগময় অবস্থা বিশ্বব্যাপি প্রচার করার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করেন ।
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর সাহিত্যকর্মে যেমন ব্যক্তি ও সমাজের ভেতর ও বাইরের সূক্ষ ও গভীর রহস্য উদঘাটন হয়েছে তেমনি স্থান পেয়েছে মানুষের কুসংস্কার ও অন্ধধর্মবিশ্বাসী, ভীরু, আশাহীন, বিপর্যস্ত সমাজজীবন এবং তাদের ভীতরকার লোভ-লালসা, ইর্ষাসহ প্রভৃতি সমস্যা।
মূলত তাঁর সাহিত্যের অভীষ্টই ছিল মানবজীবনের মৌলিক সমস্যার রহস্য উদঘাটন 😊।
আগামী পর্বে আমরা লালসালু উপন্যাসের কিছু অংশ আলোচনা করার চেষ্টা করব।
বাংলা ১ম পত্র: লালসালু।
পর্ব:২
আমাদের বাংলা ১ম পত্র পাঠ্য বইয়ের একটা কঠিন টপিক হলো লালসালু উপন্যাস। হ্যা, বিষয়টা মোটামোটা ভালই কঠিন। আমার কছে তো প্রায় সবথেকে কঠিন। 😫
কিন্তু আমাদের আজকের আলোচনার মধ্য দিয়ে আমরা এই কঠিন বিষয়টাকে সহজ করে তোলার চেষ্টা করব। যাতে উপন্যাসের মূল কথাটা বা উপজীব্যটা আমাদের মাথায় একেবারে ঢুকে যায়। 😇
তো চলো শুরু করা যাক,,
আজকের পর্বে আমরা উপন্যাসটির প্রাথমিক বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলব।
১৯৪৮ সালে প্রকাশিত হওয়া লালসালু উপন্যাসটি মূলত তৎকালীন সমাজব্যবস্থার প্রতিনীধিত্ব করে।কেবল তৎকালীন নয়, কোনো কোনো দিক দিয়ে সমকালীন বাংলাদেশকেও রিপ্রেজেন্ট করে।
কিছু মানুষ যারা ধর্মকে ব্যবহার করে নিজের অস্তিত্বকে বড় কোনো স্তরে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়, সেসকল ধান্দাবাজ, ভন্ড ধর্ম ব্যবসায়ীদের মুখোস উন্মোচন করা হয়েছে এই উপন্যাস এর মাধ্যমে।
আমরা আমাদের পাঠ্য বইয়ের বর্ননা অনুসারে এগোতে থাকি,,
কাহিনী শুরু হয়েছিল একটি এলাকা থেকে। এলাকাটি United States of Nowakhalir 😜 একটি অঞ্চল।
এবং এটি বার্ষিক প্লাবিত একটি অঞ্চল।অর্থাৎ, নওয়াখালি বা ওইদিকের যে যায়গা গুলো আছে সেগুলো বর্ষার একটি নির্দীষ্ট সময়ে বন্যায় প্লাবিত হয়ে যায়। এবং শস্যের জমিসহ বসতবাড়ি সব পানিতে তলিয়ে যায়।
আমরা এমনি একটি এলাকার কথা ধরি, এলাকাটি মূলত অন্যান্য সময় ভালো থাকে, শস্য হয়, খাবার থাকে। কিন্তু্ বন্যার সময় সব পানিতে ডুবে যায় এবং তারা খাবারের অনেক কষ্ট করে। এই গ্রাম সম্পর্কে আমরা আরো কিছু তথ্য দিয়ে নেই,
** এখানে কোনো স্কুল নেই, সবাই মাদ্রাসায় পড়ে। এবং সাবালক হওয়ার অনেক পুর্বেই তারা কুরআন-এ হাফেজ হয়ে যায়।
** তারা সকলে মাথায় টুপি পরে। এটা তাদের একটা কমন স্ট্রাকচার।
এই এলাকায় মানুষের তুলনায় খাবারের পরিমান ছিল খুবই কম। এবং যাই থাকত তা সবই মুলত সমাজের ধনিরা কিনে নিয়ে যেত। যার ফলে, যাদের শস্য ফলানো বা ক্রয় করার ক্ষমতা থাকত না তারা ধনী বা মৌলভীদের বাসায় হামলা করত। এবং খাবার না পেলে হত্যার মত নিকৃষ্ট কাজও তারা করত।
কিন্তু সকলের মাথায়ই টুপি আছে এবং সবাই কুরআন-এ হাফেজ।
অর্থাৎ, তাদের ধর্ম শিক্ষাটা যথেষ্ট থাকলেও সে অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করার মানসিকতা নেই।
উক্ত অবস্থাকে বোঝানোর জন্য বইয়ে একটি লাইন আছে,.
" শস্যের চেয়ে টুপি বেশি, ধর্মের আগাছা বেশি"( অনুধাবন)
অর্থাৎ, যতটুকু না শস্য আছে তার থেকে বেশি আছে মানুষ,(টুপি বলতে মানুষকে বোঝানো হয়েছে), এবং তার থেকেও বেশি আছে ধর্মের আগাছা বা অপব্যবহার।
কারন এরা কেবল কুরআন-এ হাফেজই হয়েছে, ধর্মের আসল কথাটাকে অনুভব করতে পারেনি।
লালসালু উপন্যাস hsc
এখন এই পরিস্থিতিতে তারা আসলে বাঁচবে কীভাবে?
তারা বাচার উপায় হিসেবে অন্য এলাকায় চলে যায় এবং তাদের যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম হলো ট্রেন।
এই গ্রামের পাসে একটি রেলওয়ে স্টেশন আছে। সেখানে প্রতি রাতে একটি ট্রেন আসে। কোনো লোকাল ট্রেন না। যা অনেক দুর দুরান্তে যায়।
এবং এই ট্রেনে করেই অনেকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে, যারা যেতে পারে তারাই বেঁচে যায়। অর্থাৎ ভাগ্যের দরজা খুলে যায়।
তারা ট্রেনে উঠার জন্য কোনো টিকেট কাটে না। কারন যেখানে খাবার সংগ্রহ করাটাই তাদের পক্ষে অসম্ভব, সেখানে টিকেট কিভাবে কিনবে। এক্ষেত্রে তারা যা করে, ট্রেনে যে প্লাটফর্মে যায়গা থাকে সেখানেই সকলে মিলে উঠার চেষ্টা করে এবং যে একবার উঠে যায় সে আর পিছু ফিরে তাকায় না। তার পরিবারের অন্য কেউ উঠলো কিনা সেক্ষেত্রেও মাথা ঘামায়না। এমনকি তারাহুরো করে উঠতে গিয়ে যদি লুঙ্গীটাও খুলে পড়ে তবে সেটা উঠাবারও সময় নেই।
কারন, জীবন বাচানোই এখানে সবচেয়ে বড় ব্যপার। তাদের জীবন এতটাই দুর্বিসহ হয়ে পড়ে যে, তারা যেকোনো কিছুর বিনিময়ে এই এলাকা ছেড়ে চলে যেতে চায়, শান্তির খোঁজে, জীবন বাঁচানোর তাঁগীদে। :)
(আগামী আরো কিছু পর্বের মাঝে টপিকটা কমপ্লিট করে দেয়ার চেষ্টা করব :) ।)
ভূলত্রুটি মার্জনীয়। কারো অন্য কনো সাবজেক্ট বা টপিক এর নোট প্রয়োজন হলে কমেন্টে জানাবা 😊।
লালসালু উপন্যাসের মূল কাহিনী , লালসালু উপন্যাস সংক্ষেপে, লালসালু উপন্যাস রিভিউ, লালসালু উপন্যাসের মজিদ চরিত্র লালসালু মুভি , লালসালু উপন্যাস অডি,লালসালু উপন্যাসের সমাজ বাস্তবতা , লালসালু উপন্যাস কত সালে প্রকাশিত হয়,
১ম পর্ব- লেখক পরিচিতি।
আজ এই পর্বে আমরা সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ ও বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান সম্পর্কে আলোচনা করব।
লালসালু উপন্যাস hsc
আমরা প্রথমে তাঁর জন্ম মৃত্যুর কথায় আসি।
তিনি জন্মগ্রহন করেন ১৯২২ সাল, ১৫ই আগস্ট।
মৃত্যুবরন করেন ১৯৭১ সাল, ১০ই অক্টোবর।
এখন কথা হচ্ছে পড়ি তো সবসময়ই, মনে তো থাকে না -_- ...
চলো একটা সর্টকাট টেকনিক দেখে নেই 👀....
আমরা একটা কোড ইউজ করতে পারি, যেমন, ১৯২২ থেকে ২২ এবং ১৯৭১ থেকে ৭১ নিব, তাহলে হলো '২২৭১', প্রত্যেক কবি ও লেখকের ক্ষেত্রে এইরকম একটি কোড বানিয়ে জন্ম মৃত্যু সাল মনে রাখব। ( কারো কাছে ভিন্ন পদ্ধতি থাকলে, write it down 😊)
*সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর,
জন্ম- চট্টগ্রাম
পড়াশুনা করেন- ময়মনসিংহে
মৃত্যু- প্যারিস
আমরা এখন তাঁর সাহিত্যকর্ম নিয়ে কথা বলি,
*তিনি যে সাহিত্য গুলো রচনা করেছেন তার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত ছিল তাঁর উপন্যাসগুলো।
তাঁর উপন্যাস সংখ্যা ছিল ৩টি, করো কারো মতে ৪টি(একটি অপ্রকাশিত)।
তিনি মূলত উপন্যাসগুলোর কারনেই বেশি খ্যাতি লাভ করেন।
তার উপন্যাস গুলোর সর্টকাট আগে আমরা বলে নেই।
আমরা মনে রাখব " কালা চাঁদ" :P
কা- কাঁদো নদী কাঁদো ( নদীকে কাঁদতে বলছেন :P )
লা- লালসালু ( তাঁর রচিত সবচেয়ে বিখ্যাত উপন্যাস <3 )
চাঁদ- চাঁদের আমাবস্যা
তার শেষের দুইটি উপন্যাস লালসালু ও চাঁদের আমাবস্যা হলো- অস্তিত্ববাদী উপন্যাস।
**আমরা যখন সমাজে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে অনেক সংগ্রাম করি, সেই জাতীয় উপন্যাসই হলো অস্তিত্ববাদী উপন্যাস। যেখানে মানুষ সমাজে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সবকিছু করতে পারে। হোক সেটা ভালো বা খারাপ।
লালসালু উপন্যাসের- মজিদ, এবং
চাঁদের আমাবস্যা উপন্যাসের- আরিফ আলী।
এই দুটি চরিত্র হলো অস্তিত্ববাদী চরিত্র। যেখানে তারা সমাজে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সবচেয়ে নিকৃষ্ট কাজ ধর্মকে ব্যবহার করেছে। তার সাথে আরো অনেক খারাপ কাজও তারা করেছে।
এবং বাংলা সাহিত্যে একমাত্র অস্তিত্ববাদী উপন্যাস সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহরই রচিত 😊।
তাঁর কিছু উল্লেখযোগ্য নাটকও আছে ,,,,😃
১/ বহিপীর ( একজন পীর, যিনি কথা বলতে বইয়ের ভাষা ব্যবহার করেন। আমরা সবাই তার কথা কম বেশি জানি। 😁 )
২/ তরঙ্গভঙ্গ ( তরঙ্গ- ঢেউ, ভঙ্গ- ভেঙ্গে যাওয়া, অর্থাৎ, ঢেউ যেখানে ভেঙ্গ যায় বা ভাজ খায়)
৩/ সুরঙ্গ,,,
এখন কথা হলো নাম তো মনে থাকেনা, কি করব 🐸
চলো আরেকটা সর্টকাট টেকনিক খুঁজি 🙊
মনে করি কোথাও তরঙ্গভঙ্গ হচ্ছে, তার পাসে আছে একটা সুরঙ্গ, সেখানে বসে বহিপীর নাটক দেখছেন 😜
অর্থাৎ, বহিপীর তরঙ্গভঙ্গের সুরঙ্গে নাটক দেখে ( ফাইজলামির একটা লাইন আরকি 👅)
** এই ৩ টাই তাঁর বিখ্যাত নাটক। এছাড়াও আরেকটি উল্লেখযোগ্য নাটক রয়েছে, নাম 'উজানের মৃত্যু'।
তার কিছু বিখ্যাত গল্পও রয়েছে।
নয়নতারা এবং দুই তীর ও অন্যান্য।
বাট, টেকনিক ইজ এভরিওয়্যার 🐸
এক্ষেত্রে মনে রাখব, নয়নতারা 👀🌟 নামে একটা লোক 👨 আছে সে দুই তীর ও অন্যান্য নামক গল্প পড়ছে।
ইট্জ মিন, নয়নতারা, দুই তীর অন্যান্য গল্প পড়ছে। 🙈 ( এগুলো গল্পের নাম বা বিভিন্ন বিষয় মনে রাখার ইন্টারেস্টিং কিছু পদ্ধতি। তোমরাও চাইলে এইরকম অনেক টেকনিক বের করতে পারো নিজের পড়কে সহজ করতে😊। And don't forget to share with us your ideas 😁)
জীবনের শেষ সময় তিনি প্যারিসে কাটান। তিনি কেবল বাংলা সাহিত্যেই নন বরং ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সময়ও সুদুর প্যারিসে বসে বাংলার দুর্যোগময় অবস্থা বিশ্বব্যাপি প্রচার করার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করেন ।
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর সাহিত্যকর্মে যেমন ব্যক্তি ও সমাজের ভেতর ও বাইরের সূক্ষ ও গভীর রহস্য উদঘাটন হয়েছে তেমনি স্থান পেয়েছে মানুষের কুসংস্কার ও অন্ধধর্মবিশ্বাসী, ভীরু, আশাহীন, বিপর্যস্ত সমাজজীবন এবং তাদের ভীতরকার লোভ-লালসা, ইর্ষাসহ প্রভৃতি সমস্যা।
মূলত তাঁর সাহিত্যের অভীষ্টই ছিল মানবজীবনের মৌলিক সমস্যার রহস্য উদঘাটন 😊।
আগামী পর্বে আমরা লালসালু উপন্যাসের কিছু অংশ আলোচনা করার চেষ্টা করব।
বাংলা ১ম পত্র: লালসালু।
পর্ব:২
আমাদের বাংলা ১ম পত্র পাঠ্য বইয়ের একটা কঠিন টপিক হলো লালসালু উপন্যাস। হ্যা, বিষয়টা মোটামোটা ভালই কঠিন। আমার কছে তো প্রায় সবথেকে কঠিন। 😫
কিন্তু আমাদের আজকের আলোচনার মধ্য দিয়ে আমরা এই কঠিন বিষয়টাকে সহজ করে তোলার চেষ্টা করব। যাতে উপন্যাসের মূল কথাটা বা উপজীব্যটা আমাদের মাথায় একেবারে ঢুকে যায়। 😇
তো চলো শুরু করা যাক,,
আজকের পর্বে আমরা উপন্যাসটির প্রাথমিক বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলব।
১৯৪৮ সালে প্রকাশিত হওয়া লালসালু উপন্যাসটি মূলত তৎকালীন সমাজব্যবস্থার প্রতিনীধিত্ব করে।কেবল তৎকালীন নয়, কোনো কোনো দিক দিয়ে সমকালীন বাংলাদেশকেও রিপ্রেজেন্ট করে।
কিছু মানুষ যারা ধর্মকে ব্যবহার করে নিজের অস্তিত্বকে বড় কোনো স্তরে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়, সেসকল ধান্দাবাজ, ভন্ড ধর্ম ব্যবসায়ীদের মুখোস উন্মোচন করা হয়েছে এই উপন্যাস এর মাধ্যমে।
আমরা আমাদের পাঠ্য বইয়ের বর্ননা অনুসারে এগোতে থাকি,,
কাহিনী শুরু হয়েছিল একটি এলাকা থেকে। এলাকাটি United States of Nowakhalir 😜 একটি অঞ্চল।
এবং এটি বার্ষিক প্লাবিত একটি অঞ্চল।অর্থাৎ, নওয়াখালি বা ওইদিকের যে যায়গা গুলো আছে সেগুলো বর্ষার একটি নির্দীষ্ট সময়ে বন্যায় প্লাবিত হয়ে যায়। এবং শস্যের জমিসহ বসতবাড়ি সব পানিতে তলিয়ে যায়।
আমরা এমনি একটি এলাকার কথা ধরি, এলাকাটি মূলত অন্যান্য সময় ভালো থাকে, শস্য হয়, খাবার থাকে। কিন্তু্ বন্যার সময় সব পানিতে ডুবে যায় এবং তারা খাবারের অনেক কষ্ট করে। এই গ্রাম সম্পর্কে আমরা আরো কিছু তথ্য দিয়ে নেই,
** এখানে কোনো স্কুল নেই, সবাই মাদ্রাসায় পড়ে। এবং সাবালক হওয়ার অনেক পুর্বেই তারা কুরআন-এ হাফেজ হয়ে যায়।
** তারা সকলে মাথায় টুপি পরে। এটা তাদের একটা কমন স্ট্রাকচার।
এই এলাকায় মানুষের তুলনায় খাবারের পরিমান ছিল খুবই কম। এবং যাই থাকত তা সবই মুলত সমাজের ধনিরা কিনে নিয়ে যেত। যার ফলে, যাদের শস্য ফলানো বা ক্রয় করার ক্ষমতা থাকত না তারা ধনী বা মৌলভীদের বাসায় হামলা করত। এবং খাবার না পেলে হত্যার মত নিকৃষ্ট কাজও তারা করত।
কিন্তু সকলের মাথায়ই টুপি আছে এবং সবাই কুরআন-এ হাফেজ।
অর্থাৎ, তাদের ধর্ম শিক্ষাটা যথেষ্ট থাকলেও সে অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করার মানসিকতা নেই।
উক্ত অবস্থাকে বোঝানোর জন্য বইয়ে একটি লাইন আছে,.
" শস্যের চেয়ে টুপি বেশি, ধর্মের আগাছা বেশি"( অনুধাবন)
অর্থাৎ, যতটুকু না শস্য আছে তার থেকে বেশি আছে মানুষ,(টুপি বলতে মানুষকে বোঝানো হয়েছে), এবং তার থেকেও বেশি আছে ধর্মের আগাছা বা অপব্যবহার।
কারন এরা কেবল কুরআন-এ হাফেজই হয়েছে, ধর্মের আসল কথাটাকে অনুভব করতে পারেনি।
লালসালু উপন্যাস hsc
এখন এই পরিস্থিতিতে তারা আসলে বাঁচবে কীভাবে?
তারা বাচার উপায় হিসেবে অন্য এলাকায় চলে যায় এবং তাদের যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম হলো ট্রেন।
এই গ্রামের পাসে একটি রেলওয়ে স্টেশন আছে। সেখানে প্রতি রাতে একটি ট্রেন আসে। কোনো লোকাল ট্রেন না। যা অনেক দুর দুরান্তে যায়।
এবং এই ট্রেনে করেই অনেকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে, যারা যেতে পারে তারাই বেঁচে যায়। অর্থাৎ ভাগ্যের দরজা খুলে যায়।
তারা ট্রেনে উঠার জন্য কোনো টিকেট কাটে না। কারন যেখানে খাবার সংগ্রহ করাটাই তাদের পক্ষে অসম্ভব, সেখানে টিকেট কিভাবে কিনবে। এক্ষেত্রে তারা যা করে, ট্রেনে যে প্লাটফর্মে যায়গা থাকে সেখানেই সকলে মিলে উঠার চেষ্টা করে এবং যে একবার উঠে যায় সে আর পিছু ফিরে তাকায় না। তার পরিবারের অন্য কেউ উঠলো কিনা সেক্ষেত্রেও মাথা ঘামায়না। এমনকি তারাহুরো করে উঠতে গিয়ে যদি লুঙ্গীটাও খুলে পড়ে তবে সেটা উঠাবারও সময় নেই।
কারন, জীবন বাচানোই এখানে সবচেয়ে বড় ব্যপার। তাদের জীবন এতটাই দুর্বিসহ হয়ে পড়ে যে, তারা যেকোনো কিছুর বিনিময়ে এই এলাকা ছেড়ে চলে যেতে চায়, শান্তির খোঁজে, জীবন বাঁচানোর তাঁগীদে। :)
(আগামী আরো কিছু পর্বের মাঝে টপিকটা কমপ্লিট করে দেয়ার চেষ্টা করব :) ।)
ভূলত্রুটি মার্জনীয়। কারো অন্য কনো সাবজেক্ট বা টপিক এর নোট প্রয়োজন হলে কমেন্টে জানাবা 😊।
লালসালু উপন্যাসের মূল কাহিনী , লালসালু উপন্যাস সংক্ষেপে, লালসালু উপন্যাস রিভিউ, লালসালু উপন্যাসের মজিদ চরিত্র লালসালু মুভি , লালসালু উপন্যাস অডি,লালসালু উপন্যাসের সমাজ বাস্তবতা , লালসালু উপন্যাস কত সালে প্রকাশিত হয়,
Comments
Post a Comment
Thanks